Thursday, February 22, 2018

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন




                            স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বললেন যে, এই জড় জগত তার সৃষ্টি এবং তিনি প্রকাশ রূপে প্রবিষ্ট হয়েছেন বলেই এই জগত সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। এইকথা শুনে অর্জুনের মনে সংশয় দেখা দেয়। তিনি জগত থকে সর্ম্পূন আলাদা হওয়া সত্ত্বে ও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে জগতের অভ্যন্তরে সমস্থ কর্ম পরিচালনা করছেন তা দেখতে চাইলেন। অর্জুনের হৃদয়ের সুপ্তবাসনা জানতে পেরে শ্রীকৃষ্ণ তার বিশ্বরূপ দর্শন করাবেন বলে ঠিক করলেন। কিন্তু তিনি জানতেন অর্জুন তার দ্বিভুজ শ্যামসুন্দর রূপ দেখেই পুর্নমাত্রায় তৃপ্ত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন করা বা তাকে শোনা এই জড় ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তার বিশ্বরূপ দর্শন করতে গেলে দিব্য দৃষ্টির প্রয়োজন হয়। আর এই দিব্য দৃষ্টি লাভকরা সম্ভব প্রেম ভক্তি সহকারে ভগবানের সেবায় নিজেকে নিয়জিত করে। এক জায়গায় বসে ব্রহ্মান্ড দর্শন করা এবং শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপের দিব্য তেজ সহ্য করা সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে একটি বিশেষ শক্তি ও চক্ষু প্রদান করলেন, যাতে অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপের তেজ সহ্য করতে পারেন।অর্জুন যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন করেছিলেন তখন তিনি শ্রীকৃষ্ণের পায়ের কাছে হাত জোর করে বসেছিলেন। অর্জুন দেখতে পেলেন শ্রীকৃষ্ণের শরীরে হাজার হাজার আলোক রশ্মি, অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র সমন্বিত অনন্ত ব্রহ্মান্ড, সীমাহীন হস্ত, পদ, মুখ, কোনটি হিংস্র, কোনটি শান্ত, কোনটির থেকে বৈরাগ্য প্রকাশ
পাচ্ছে, আবার কোনটি মুক্তির পথ দেখাছে।

জয় শ্রীকৃষ্ণ

No comments:

Post a Comment

Featured post

মন্ত্র- কি ?

"মননাৎ ত্রায়তে যস্মাৎ তস্মাৎ মন্ত্র উদাহৃতঃ।" যাহার মননের দ্বারা, চিন্তার দ্বারা, ধ্যানের দ্বারা সংসার-সাগর হইতে উর্ত্তীর্ণ হওয়া য...

Popular